রবিবার, ৪ঠা মে ২০২৫, ২০শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • পাকিস্তান থেকে সব ধরনের আমদানি নিষিদ্ধ করল ভারত
  • মহাসমাবেশ থেকে হেফাজতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
  • চাঁদপুরে ২ শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
  • আরও ১ লাখ ১৫ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ
  • সরকারের হস্তক্ষেপ না থাকায় গণমাধ্যম সূচকে ১৬ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ
  • শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি মিছিল
  • করিডর দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে
  • আ. লীগ নিষিদ্ধসহ ১২ দফা দাবি হেফাজতের
  • সন্ধ্যায় ঢাকায় আসছেন কানাডার বাণিজ্য প্রতিনিধি
  • আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল নয় সন্ত্রাসী সংগঠন

লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষেধ

তছলিমুর রহমান, লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত:
১১ অক্টোবর ২০২৩, ১৪:২৯

ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য ১২ অক্টেবর (বুধবার) রাত ১২ টার পর থেকে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিনের জন্য ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে। এ সময় ইলিশ ধরা, বিক্রি, মজুদ, বাজারজাত ও পরিবহন নিষিদ্ধ থাকবে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জেলেরা যাতে নদীতে মাছ শিকার করতে না পারে সেজন্য নদীতে অভিযান পরিচালিত হবে।

এদিকে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়বেন উপকূলের লক্ষাধিক জেলে। এতে চরম অভাব-অনাটন আর অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ছেন তারা। যদিও পুর্নবাসনের জন্য নিশেধাজ্ঞা সময়ে জেলার প্রায় ৪০ হাজার নিবন্ধিত জেলেদের জন্য ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুরের চর আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে নিষেধাজ্ঞার সময়ে কোনো জেলে নদীতে নামতে পারবে না। প্রতিবছর আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার আগে-পরে ইলিশের ডিম ছাড়ার আসল সময়। এ সময় সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নদীতে ছুটে আসে। এই সময়কে বিবেচনায় নিয়ে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। আইন অমান্যকারীকে মৎস্য আইনে সাজা প্রদান করা হবে।

জেলেরা জানান, মার্চ-এপ্রিল দুই মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকার পর ভরা মৌসুমেও নদীতে ইলিশ পায়নি তারা। যে মুহূর্তে জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করেছে তখনই নিষেধাজ্ঞা চলে আসায় সংকটে পড়েছেন উপকূলের জেলেরা।
জেলে তছলিমুর রহমান ও নাসির মিয়া বলেন, এ মৌসুমটাই ইলিশ ছিল না, অনেক জেলেই দেনায় জর্জরিত। যখন মাছ ধরতে শুরু করলো তখনই চলে এসছে নিষেধাজ্ঞা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিগত কয়েক বছর থেকেই দেশে ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে। তবে সারাদেশের পরিস্থিতি এক নয়। লক্ষ্মীপুরে জেলেরা কাঙ্খিত ইলিশ পাননি। এ কারণে অনেকে জেলেই ধারদেনা করে সংসার পরিচালনা করছেন। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় জেলেদের অনেকটা দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, এখন ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম। তাই মা ইলিশ রক্ষায় আমাদের অভিযান চলবে। ১২ অক্টেবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। বিগত বছরগুলোতে সরকারিভাবে ২০ কেজি করে চাল দিলেও এবার জেলেদেরকে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করা হবে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর