রবিবার, ৪ঠা মে ২০২৫, ২০শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • পাকিস্তান থেকে সব ধরনের আমদানি নিষিদ্ধ করল ভারত
  • মহাসমাবেশ থেকে হেফাজতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
  • চাঁদপুরে ২ শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
  • আরও ১ লাখ ১৫ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ
  • সরকারের হস্তক্ষেপ না থাকায় গণমাধ্যম সূচকে ১৬ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ
  • শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি মিছিল
  • করিডর দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে
  • আ. লীগ নিষিদ্ধসহ ১২ দফা দাবি হেফাজতের
  • সন্ধ্যায় ঢাকায় আসছেন কানাডার বাণিজ্য প্রতিনিধি
  • আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল নয় সন্ত্রাসী সংগঠন

বে-টার্মিনাল প্রকল্পে ৬৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
২৯ জুন ২০২৪, ১১:১৮

বাংলাদেশকে বে-টার্মিনাল গভীর সমুদ্রবন্দর উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে বিনিয়োগে সহায়তা করার জন্য ৬৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংকের বোর্ড অফ এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টরস।

এর মাধ্যমে বাংলাদেশের বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রতিযোগিতার উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি করবে এবং বন্দরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমদানি ও রপ্তানি ব্যয় কমিয়ে আনবে। পাশাপাশি এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত বিনিয়োগও গতিশীল হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক।

বিশ্ব ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বে টার্মিনাল সামুদ্রিক এই অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প স্রোত এবং চরম আবহাওয়ার শক্তি থেকে পোতাশ্রয়কে রক্ষা করতে ৬ কিলোমিটার জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক ব্রেকওয়াটার নির্মাণ করা হবে। এটি বন্দর বেসিন, প্রবেশদ্বার এবং অ্যাক্সেস চ্যানেলগুলির ড্রেজিংও পরিচালনা করবে।

নতুন আধুনিক এই বে টার্মিনাল শীর্ষ আন্তর্জাতিক টার্মিনাল অপারেটরদের দ্বারা পরিচালিত হবে বলে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এর মাধ্যমে প্যানাম্যাক্স জাহাজের মতো বড় আকারের জাহাজগুলোকে ঘুরানোও আগের থেকে অনেক সহজ হবে। এতে প্রতিদিন আনুমানিক ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাশ্রয় হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তারা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর অনেক বেশি নির্ভর করে। কিন্তু বন্দরটিকে মাঝে মাঝে সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হতে হয়।

তিনি বলেন, বে টার্মিনাল প্রকল্পটি একটি গেম চেঞ্জার হবে। এটি বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি পরিবহন খরচ ও সময় হ্রাসের মাধ্যমে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রতিযোগিতার উন্নতি ঘটাবে, মূল বৈশ্বিক বাজারে নতুন সুযোগ উন্মোচন করবে।”

এ বন্দরে নৌ পথের পাশাপাশি সড়ক এবং রেল যোগাযোগের সুবিধা থাকছে। আর এখানে বছরে কনটেইনার হ্যান্ডলিং হবে ৫০ লাখের বেশি।

বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর কনটেইনার হ্যান্ডলিং করছে ৩০ থেকে ৩২ লাখ।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ট্রান্সপোর্ট স্পেশালিস্ট এবং প্রকল্পের প্রধান হুয়া টান বলেন, বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর অবকাঠামোর আধুনিকীকরণ এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাজারে এর সংযোগ উন্নত করতে অবদান রাখবে বে টার্মিনাল।

বে টার্মিনাল স্থাপিত হলে বাংলাদেশের কন্টেইনারের ৩৬ শতাংশ হ্যান্ডলিং করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। শিপিং কোম্পানি, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, আমদানিকারক, রপ্তানিকারক এবং মালবাহী ফরওয়ার্ডার সহ ১০ লাখের বেশি মানুষ এর মাধ্যমে সরাসরি উপকৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক এই প্রকল্পসহ বাংলাদেশকে ৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর