রবিবার, ৪ঠা মে ২০২৫, ২০শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • পাকিস্তান থেকে সব ধরনের আমদানি নিষিদ্ধ করল ভারত
  • মহাসমাবেশ থেকে হেফাজতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
  • চাঁদপুরে ২ শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
  • আরও ১ লাখ ১৫ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ
  • সরকারের হস্তক্ষেপ না থাকায় গণমাধ্যম সূচকে ১৬ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ
  • শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি মিছিল
  • করিডর দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে
  • আ. লীগ নিষিদ্ধসহ ১২ দফা দাবি হেফাজতের
  • সন্ধ্যায় ঢাকায় আসছেন কানাডার বাণিজ্য প্রতিনিধি
  • আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল নয় সন্ত্রাসী সংগঠন

প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা, উদ্ধারের অপেক্ষায় অনেক মানুষ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
২৪ আগষ্ট ২০২৪, ১১:৩৮

ফেনীসহ দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ১২ জেলার চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে উজানের ঢল ও বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় কিছু এলাকায় কমতে শুরু করেছে পানি। তবে কয়েক জেলায় নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানির তোড়ে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ায় বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে অনেক এলাকা। দুর্গত এলাকা থেকে স্বেচ্ছাসেবীরা বন্যার্তদের উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছেন। এতে নিহত হয়েছেন ১৫ জন। এখন পর্যন্ত ১২টি জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ৫০ লাখ মানুষ। এ মুহূর্তে মোট ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৭৬৯ পরিবার পানিবন্দি।

কুমিল্লায় গোমতী নদীতে পানির উচ্চতা কিছুটা কমেছে। তবে শুক্রবার বিকালে নতুন করে প্লাবিত হয় ৫০টি গ্রাম। এসব এলাকার অন্তত দেড় লাখ মানুষ চরম ভোগান্তিতে রয়েছে। দুর্গত এসব মানুষসহ আদর্শ সদর, চৌদ্দগ্রাম ও লাঙ্গলকোট উপজেলার সাত লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

নোয়াখালীতে আট উপজেলায় পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। সড়ক ও বাড়ি-ঘর কয়েক ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব জায়গায় ৫০০ টনের বেশি চাল বিতরণ করেছে প্রশাসন।

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা প্রসঙ্গে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরতদের ধৈর্য ধরতে আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে ত্রাণ পৌঁছানোর কাজ চলছে। আশা করছি সঠিক সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রতিটি কেন্দ্রে আমরা ত্রাণ পৌঁছাতে পারব।

বন্যায় ১৫ জনের মৃত্যু

ফেনীর ছয় উপজেলায় ১০ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। এ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে অন্তত ৫০ হাজার জনকে। বর্তমানে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন সব এলাকা। সশস্ত্র বাহিনীসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ত্রাণ বিতরণ ও উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।

স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা বন্যার্তদের সহায়তায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা বলছেন, অনেকেই খাবার, বিশুদ্ধ পানির তীব্র অভাবে আছে। তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসা উচিত।

বৃষ্টি না হওয়ায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ফটিকছড়িতে পানি কমেছে। তবে দুর্ভোগে পড়েছে ৭০ হাজার মানুষ। খাগড়ছড়িতে পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, দীঘিনালায় এখনও পানিবন্দি কয়েক হাজার মানুষ।

খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ বলেন, দেড় শ থেকে দুই শ পরিবার বন্যার কারণে আটকা পড়েছে। আমরা তাদের কাছে ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছি। কবাখালী ও বোয়ালখালীসহ অন্য বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে ত্রাণ বিতরণ চলছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পানি কমছে ধীরে। হবিগঞ্জের খোয়াই নদীর পানিও কিছুটা কমেছে। তবে সেখানে পাঁচ উপজেলায় পানিবন্দি রয়েছেন ৫৭ হাজার মানুষ।

স্থানীয়রা বলছেন, পানি কমলেও নিজেদের বাড়িতে গিয়ে থাকার অবস্থা নেই। বন্যায় সব ভেসে গেছে।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে মনু নদের পানির কারণে নতুন করে প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে অনেক এলাকায়।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর