রবিবার, ৪ঠা মে ২০২৫, ২০শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • পাকিস্তান থেকে সব ধরনের আমদানি নিষিদ্ধ করল ভারত
  • মহাসমাবেশ থেকে হেফাজতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
  • চাঁদপুরে ২ শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
  • আরও ১ লাখ ১৫ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ
  • সরকারের হস্তক্ষেপ না থাকায় গণমাধ্যম সূচকে ১৬ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ
  • শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি মিছিল
  • করিডর দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে
  • আ. লীগ নিষিদ্ধসহ ১২ দফা দাবি হেফাজতের
  • সন্ধ্যায় ঢাকায় আসছেন কানাডার বাণিজ্য প্রতিনিধি
  • আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল নয় সন্ত্রাসী সংগঠন

পাচার করা অর্থ ফেরতে কাজ শুরু করেছে দুদক, সহযোগিতায় এসেছে এফবিআই

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫:৪০

শেখ হাসিনা সরকারের আমলে পাচার হওয়া প্রায় এক লাখ কোটি টাকা ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ কাজে দুদককে সাহায্য করছে বিভিন্ন সংস্থা। এবার বাংলাদেশে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) লিগ্যাল অ্যাটাচে রবার্ট ক্যামেরুন ও এফবিআইয়ের সুপারভাইজার স্পেশাল এজেন্টের সমন্বয়ে একটি টিম।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দুপুর ১টা ১০ মিনিটে হাজির হয়েছেন।

দলটি দুদকের মানি লন্ডারিং ও লিগ্যাল শাখার মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিশেষ সভা করবে বলে জানা গেছে।

ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রায় ২০০ ভিআইপি ব্যক্তির বিরুদ্ধে গোপন ও প্রকাশ্যে অনুসন্ধানে নেমেছে। যার মধ্যে রয়েছে তৎকালীন সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সাবেক এমপি, ব্যবসায়ী, পুলিশ ও আমলাদের শীর্ষ পর্যা‌য়ের কর্মকর্তারা। অনুসন্ধান ও তদন্ত কাজ আরও নিখুঁত করতে এবং সরকার গঠিত টাস্কফোর্সে কর্মকাণ্ডসংক্রান্ত দেশি-বিদেশি সহায়তা নিতে যাচ্ছে সংস্থাটি। এরই ধারাবাহিকতায় ওই টিম দুদকে বৈঠক করছেন।

জানা গেছে, এফবিআইয়ের সঙ্গে আলোচনার প্রধান বিষয় হচ্ছে যৌথ টাস্কফোর্স। ওই টাস্কফোর্স কীভাবে কাজ করলে পাচার করা অর্থ ফেরত আনা সম্ভব হবে, আমরা এ বিষয়ে তাদের সহযোগিতা চাইব। দুদকের সঙ্গে এফবিআইয়ের সভা নতুন নয়। তবে এবারের প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। এফবিআইয়ের সঙ্গে একটি এমওইউ স্বাক্ষর করার জোর প্রচেষ্টা থাকবে। যৌথ টাস্কফোর্সে তাদের সরাসরি অংশগহণ থাকবে কি না, সে বিষয় নিয়েও আলোচনা হবে। তারা পরামর্শক হিসেবেও থাকতে পারে। সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। তাদের সঙ্গে আলোচনার পর বিষয়টি পরিষ্কার করা যাবে।

এর আগে, রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সভা শেষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছিলেন, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। টাস্কফোর্সের কর্মপদ্ধতি কী হবে, কারা থাকবে, এর প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ চলছে। কিছুদিনের মধ্যে এই টাস্কফোর্স দৃশ্যমান হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও ব্যাংক খাতের সংস্কারে আলাদা টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।

সরকারের বিশেষ টাস্কফোর্সে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), দুর্নীতি দমন কমিশন, অর্থ বিভাগ, এনবিআর, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ইত্যাদি সংস্থার প্রতিনিধিরা থাকছেন বলেও জানা গেছে।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর