রবিবার, ৪ঠা মে ২০২৫, ২০শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • পাকিস্তান থেকে সব ধরনের আমদানি নিষিদ্ধ করল ভারত
  • মহাসমাবেশ থেকে হেফাজতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
  • চাঁদপুরে ২ শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
  • আরও ১ লাখ ১৫ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ
  • সরকারের হস্তক্ষেপ না থাকায় গণমাধ্যম সূচকে ১৬ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ
  • শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি মিছিল
  • করিডর দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে
  • আ. লীগ নিষিদ্ধসহ ১২ দফা দাবি হেফাজতের
  • সন্ধ্যায় ঢাকায় আসছেন কানাডার বাণিজ্য প্রতিনিধি
  • আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল নয় সন্ত্রাসী সংগঠন

গভর্নর

১৫ বছরে রিজার্ভ থেকে উধাও ২৪ বিলিয়ন ডলার

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩:৩২

আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৫ বছরে দেশের রিজার্ভ থেকে ২৪ বিলিয়ন ডলার দেশের বাইরে চলে গেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেছেন, রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছিল, যা এখন হয়েছে ২৪ বিলিয়ন। অর্থাৎ বাকি টাকাটা বাইরে চলে গেছে।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) অডিটরিয়ামে ‘টিপিং পয়েন্টস অব রিফর্ম এজেন্ডা ফর দ্য টার্ন-অ্যারাউন্ড অব দ্য ব্যাংকিং সেক্টর অব বাংলাদেশ’ আয়োজিত সেমিনারে আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমরা যদি আমানত বাড়াতে না পারি, টাকা বাইরে চলে যায়, তাহলে ব্যাংক ও অর্থনৈতিক খাতের প্রবৃদ্ধি হবে না। আমাদের লক্ষ্য আগামী জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা। পরবর্তী অর্থবছরের মাঝে তা ৫ শতাংশে নামানো। মূল লক্ষ্য মূল্যস্ফীতি ৪-৫ শতাংশে নামিয়ে আনা। আশা করি তা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, বন্যার কারণে বর্তমান বাজারে সবজি ও খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়তি। একসময় তা কমে আসবে। মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নামিয়ে আনতে পারলে আমরা ব্যাংকের সুদ ও নীতি সুদহার কমিয়ে আনব।

সেমিনারে গত সরকারের আমলে ব্যাংক খাতে লুটপাটের ঘটনায় ব্যাংকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা একে অপরকে দোষারোপ করেন। ব্যাংকাররা বলেন, ব্যাংক থেকে টাকা লুটের সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তারা একেবারেই চুপ ছিলেন। তাদের সামনে দিয়েই আমানতকারীদের টাকা লুট করে নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংক খাতের লুটপাট প্রতিরোধে কোনো ভূমিকা রাখেনি।

তারা আরও বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে ব্যক্তিগত তদবিরে ব্যবস্থা থাকে। ব্যক্তিস্বার্থে তারা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তাদের ব্ল্যাকমেইলিং করে বলেও কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন। তারা আরও বলেছেন, ব্যাংক খাতের তদারকিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো ভূমিকা ছিল না। যে কারণে নজিরবিহীনভাবে লুটপাট করা সম্ভব হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাধা দিলে বা সজাগ থাকলে এত বড় লুটপাট করা সম্ভব হতো না।

এসব অভিযোগের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেছেন, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ভুল তথ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বিভ্রান্ত করেছে। আমানতকারীদের টাকা লুটপাট হয়েছে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানানো হয়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন সূত্র থেকে জানতে পেরে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কাছে মৌখিকভাবে জানতে চেয়ে কোনো তথ্য পায়নি। এমনকি চিঠি দিয়েও তা জানা সম্ভব হয়নি। রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অপদস্থ করেছে। কোনো কোনো ব্যাংকে ১১ দফা চিঠি দিয়েও একটি গ্রুপের ঋণের তথ্য পাওয়া যায়নি।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর