রবিবার, ৪ঠা মে ২০২৫, ২০শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • পাকিস্তান থেকে সব ধরনের আমদানি নিষিদ্ধ করল ভারত
  • মহাসমাবেশ থেকে হেফাজতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
  • চাঁদপুরে ২ শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
  • আরও ১ লাখ ১৫ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ
  • সরকারের হস্তক্ষেপ না থাকায় গণমাধ্যম সূচকে ১৬ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ
  • শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি মিছিল
  • করিডর দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে
  • আ. লীগ নিষিদ্ধসহ ১২ দফা দাবি হেফাজতের
  • সন্ধ্যায় ঢাকায় আসছেন কানাডার বাণিজ্য প্রতিনিধি
  • আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল নয় সন্ত্রাসী সংগঠন

যেসব কারণে শিশু অটিজমে আক্রান্ত হয়

জীবনযাপন ডেস্ক

প্রকাশিত:
৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:৪৪

প্রতিবছরের মতো এবারও ২ এপ্রিল বিশ্বজুড়ে পালিত হয়েছে ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার’।

অটিজমের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অনেক শিশুরই যোগাযোগে অসুবিধা হয়, বিশেষ করে কথা বলা ও সামাজিক মেলামেশার ক্ষেত্রে। তবে সঠিক সময়ে উপযুক্ত থেরাপি এবং অভিজ্ঞতাসম্পন্ন চিকিৎসকের পরামর্শ পেলে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়।

অটিজম কী : অটিজম শব্দের অর্থ হলো নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া। সমাজ, পরিবার, পরিবেশ থেকে নিজেকে গুটিয়ে একাকিত্ব জীবনযাপনে অভ্যস্ত হওয়ার নামই অটিজম।

এটি এক ধরনের উবাবষড়ঢ়সবহঃধষ ফরংড়ৎফবৎ, যেখানে ফবাবষড়ঢ়সবহঃধষ ও বিহেভিয়ারে কিছু সমস্যা হয়। ফলে একজন স্বাভাবিক শিশু যেমন কথাবার্তা, যোগাযোগ ও আচার-ব্যবহার করে, অটিস্টিক শিশু তা করতে পারে না। হাজারে ৫.২টি শিশু এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। ছেলেমেয়ে সবাই আক্রান্ত হতে পারে। তবে ছেলেরা প্রায় চার গুণ বেশি ভুক্তভোগী।

কারণ : অটিস্টিকের কারণ নির্দিষ্ট কোনো কিছু দিয়ে ব্যাখ্যা করা যাবে না। তবে জেনেটিক, জন্মগত, বিভিন্ন ধরনের পারিবারিক ও সামাজিক প্রভাবের সংমিশ্রণ কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। জন্মগত (৫০ শতাংশ); সন্তান প্রসবকালে সময়, স্থান ও পদ্ধতি খুবই স্পর্শকতার ইস্যু।

কোনো কারণে মাথায় আঘাত পাওয়া, শ্বাসকষ্ট হওয়া ও অন্য কোনো বড় অসুখ ইত্যাদি। বায়োলজিক্যাল কারণের মধ্যে পংভম হোমোভিনিলিক অ্যাসিড বেশি থাকে। ক্রোমোজোম সমস্যা থাকে। সাইকোলজিক্যাল কারণের মধ্যে বাবা-মায়ের খুব বসড়ঃরধহধষপড়ষফ, ফবঃধপযবফ ও ড়নংবংংরাব থাকা এ রোগের অন্যতম কারণ।

লক্ষণ : শিশুর সামাজিক বিকাশ একদমই হয় না। যেমন বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন, সমবয়সীদের সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে না। কোনো কোনো শিশু একদম কথা বলে না, আবার কেউ কেউ কথা পুরো বাক্য বুঝিয়ে বলতে পারে না। আবার অনেকের কথা ঠিকমতো শুরু হয় কিন্তু তিন বছরের পর ফরংধঢ়ঢ়বধৎ করে। আচার- ব্যবহারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকতে পারে। যেমন ংঃবৎবড়ঃুঢ়ব নবযধারড়ৎ করে। চোখের দিকে তাকায় না।

নিজের মতো চলাফেরা, কাজ-কর্ম করে। এছাড়া বাবা-মায়ের আদর-সোহাগ বোঝে না। একটি শিশুকে কোলে নিলে যেমন হাসে, তাকায়, এ ধরনের শিশুরা এগুলো বোঝে না, তাকে তার মা নিয়েছে, না অন্য কেউ নিয়েছে, কোনো তফাত বুঝতে পারে না।

সমবয়সীদের সঙ্গে মিশতে পারে না। কোনো খেলাধুলা শেয়ার করে না। একাকিত্ব জীবনযাপন করে। একই ধরনের খেলনা, একই ধরনের খেলা ও খাবার বেশি পছন্দ। একটা নির্দিষ্ট ভঙ্গিতে হাততালি দেয়, শব্দ করে, টেবিলের চতুর্দিকে হাঁটে, দৌড়াদৌড়ি করে।

আশার কথা হচ্ছে, এ রোগের চিকিৎসা রয়েছে এবং তা দেশেই হয়ে থাকে। এসব রোগের ক্ষেত্রে থেরাপির প্রয়োজন হতে পারে।

অটিজম ও এর জটিলতা নিরসনে রোগটি আপনার সন্তানের মধ্যে উপলব্ধি করার শুরুতেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং পরিপূর্ণ চিকিৎসা নিয়ে আপনার আদরের সন্তানকে সুস্থতার সঙ্গে জীবনযাপন করার সুযোগ করে দিন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর