রবিবার, ৪ঠা মে ২০২৫, ২০শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • পাকিস্তান থেকে সব ধরনের আমদানি নিষিদ্ধ করল ভারত
  • মহাসমাবেশ থেকে হেফাজতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
  • চাঁদপুরে ২ শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
  • আরও ১ লাখ ১৫ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ
  • সরকারের হস্তক্ষেপ না থাকায় গণমাধ্যম সূচকে ১৬ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ
  • শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি মিছিল
  • করিডর দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে
  • আ. লীগ নিষিদ্ধসহ ১২ দফা দাবি হেফাজতের
  • সন্ধ্যায় ঢাকায় আসছেন কানাডার বাণিজ্য প্রতিনিধি
  • আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল নয় সন্ত্রাসী সংগঠন

মিশরের গ্র্যান্ড মুফতি

ইসরাইলের বিরুদ্ধে জিহাদের আহ্বান ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত:
১০ এপ্রিল ২০২৫, ১৩:৩১

গাজায় ইসরাইলের চলমান গণহত্যার প্রেক্ষাপটে কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক মুসলিম আলেম সংগঠন (আইইউএমএস) যে ফতোয়া দিয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে মুসলিমদের জিহাদে নামার আহ্বান জানিয়েছে, তাকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ ও শরিয়ার নীতিমালার লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করেছেন মিশরের গ্র্যান্ড মুফতি শেইখ নজির আয়াদ।

আইইউএমএস-এর দেয়া ফতোয়ায় বলা হয়, প্রতিটি ‘সক্ষম মুসলমানের’ ওপর ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা ধর্মীয় দায়িত্ব এবং মুসলিম দেশগুলোর উচিত অবিলম্বে সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক হস্তক্ষেপ করে এই গণহত্যা বন্ধ করা। একইসঙ্গে ইসরাইলের ওপর পূর্ণ অবরোধ আরোপেরও আহ্বান জানানো হয়।

সংগঠনের মহাসচিব আলি আল-কারাদাগি বলেন, ‘গাজা যখন ধ্বংসের মুখে, তখন আরব ও মুসলিম সরকারগুলোর ব্যর্থতা ইসলামি আইনের দৃষ্টিতে নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের প্রতি একটি গুরুতর অপরাধ।’

তবে এই আহ্বানের কড়া সমালোচনা করেন শেইখ আয়াদ। মিডলইস্ট আইকে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল বিষয়ে কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা বেসরকারি সংগঠনের পক্ষ থেকে ফতোয়া দেওয়া শরিয়ার মূলনীতি ও উচ্চতর উদ্দেশ্যের পরিপন্থি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের পদক্ষেপ সমাজের নিরাপত্তা ও মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে। ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহমর্মিতা অবশ্যই তাদের প্রকৃত স্বার্থে হতে হবে, এমন কোনো বেপরোয়া কর্মসূচির অংশ নয়, যা আরও ধ্বংস ডেকে আনবে।’

গ্র্যান্ড মুফতি জোর দিয়ে বলেন, জিহাদের ঘোষণা দেওয়ার এখতিয়ার শুধুমাত্র বৈধ রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের। ‘একটি জাতির সামর্থ্য, রাজনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনা না করে জিহাদের ডাক দেওয়া নিঃসন্দেহে এক দায়িত্বজ্ঞানহীন পদক্ষেপ।’

এদিকে কায়রোতে অবস্থিত সালাফি পণ্ডিত ইয়াসির বুরহামিও আইইউএমএস-এর ফতোয়ার বিরোধিতা করেছেন। তিনি মিশর ও ইসরাইলের মধ্যে ১৯৭৯ সালের শান্তিচুক্তির কথা উল্লেখ করে এই ধরনের ফতোয়াকে অগ্রহণযোগ্য ও বাস্তবতাবিবর্জিত বলেছেন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর