রবিবার, ৪ঠা মে ২০২৫, ২০শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • পাকিস্তান থেকে সব ধরনের আমদানি নিষিদ্ধ করল ভারত
  • মহাসমাবেশ থেকে হেফাজতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
  • চাঁদপুরে ২ শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
  • আরও ১ লাখ ১৫ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ
  • সরকারের হস্তক্ষেপ না থাকায় গণমাধ্যম সূচকে ১৬ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ
  • শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি মিছিল
  • করিডর দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে
  • আ. লীগ নিষিদ্ধসহ ১২ দফা দাবি হেফাজতের
  • সন্ধ্যায় ঢাকায় আসছেন কানাডার বাণিজ্য প্রতিনিধি
  • আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল নয় সন্ত্রাসী সংগঠন

সারজিস

জাতিসংঘসহ মানবাধিকার সংগঠনের চোখ গাজায় গিয়ে তালাবদ্ধ হয়ে যায়

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৬:৫৮

গাজায় গণহত্যার রক্ত নেতানিয়াহু ও তার সহযোগীদের গায়ে লেগে আছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (উত্তরাঞ্চল) মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

আজ রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে তিনি পঞ্চগড় সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ সাগর ইসলামের কবর জিয়ারত ও তার স্বজনদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এই মন্তব্য করেন তিনি।

সারজিস আলম বলেন, ‘মার্চ ফর গাজায় আমরা দেখেছি লাখ লাখ মানুষ দল-মত-নির্বিশেষে অংশ নিয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পুরো বিশ্বকে একটি বার্তা দিতে চাই—ফিলিস্তিনের গাজায় মজলুম মুসলিম ভাই-বোনদের সঙ্গে যা হচ্ছে, এটা গণহত্যা।

এই গণহত্যার রক্তের যে দাগ তা নেতানিয়াহু হাতে লেগে আছে। তাকে যারা সহায়তা করেছে—ব্যক্তি, দেশ বা প্রতিষ্ঠান প্রত্যেকের গায়ে আছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘জাতিসংঘ, ইউনিসেফসহ মানবাধিকার সংগঠনগুলো বড় বড় লেকচার দেয়, কিন্তু তাদের মানবাধিকারের চোখ, বিবেক—সব কিছু ওই গাজায় গিয়ে তালাবদ্ধ হয়ে যায়। আমরা তাদের বলতে চাই, আগামীর পৃথিবীতে মানবাধিকারের কোনো বক্তব্য দেওয়ার আগে গাজার চিত্রটি সামনে আনবেন।

সেই ইস্যুতে আপনি যদি দায়িত্ব পালন করতে না পারেন তাহলে পুরো পৃথিবীর মানুষের সামনের মানবাধিকারের জ্ঞান দেওয়ার মতো মুখ আপনার নেই।’

আমরা দেখেছি সারা বিশ্বেই ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে মানুষ রাস্তায় নেমেছে উল্লেখ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (উত্তরাঞ্চল) মুখ্য সংগঠক বলেন, ‘এই যে বর্বরতা, এই যে গণহত্যা চলছে, এই গণহত্যা যদি চলতে দেওয়া হয় এটা কিন্তু আর গাজায় সীমাবদ্ধ থাকবে না। এটা একদিন পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে যাবে। এটা শুধু মুসলিমকেন্দ্রিক নয়।

যারা এমন রক্তপিপাসু তাদের যদি কখনো স্বার্থের জন্য প্রয়োজন হয় তারা অন্য ধর্মের মানুষেরও রক্ত নেবে। এটি ধর্মের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, জাতির মধ্যেও নয়, নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যেও নয়, এটি একটি গণহত্যা। আর এই গণহত্যার বিরুদ্ধে আমাদের দাঁড়াতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনের ভাইদের আমরা বলতে চাই পুরো বাংলাদেশ, পুরো পৃথিবী আপনাদের সঙ্গে আছে। আপনাদের সাহসের সঙ্গে যে লড়াই, এই লড়াই পুরো পৃথিবীকে যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শক্তি জোগায়, সাহস দেয়।

নববর্ষ নিয়ে সারজিস বলেন, ‘বিগত ১৬ বছরে নববর্ষে দলীয় প্রভাবের সঙ্গে বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাবও আমরা দেখেছি। দল ও বিদেশি রাষ্ট্রের কনসেপ্ট তৈরি করে বিভিন্ন সেগমেন্ট তৈরি করা হতো। বিভিন্ন ধরনের অপসংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হতো। ফ্যাসিস্টের পক্ষ থেকে বা ক্ষমতায় জায়গা থেকে কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়া এটি কখনোই সাসটেইনেবল নয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা মনে করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে ততটুকু স্পেস বাংলাদেশের মানুষকে দিয়েছে যে, আমরা যা ধারণ করি তা-ই প্রকাশ করতে পারি। আমরা বিশ্বাস করি, আগামীতেও যারাই বাংলাদেশের সরকারের দায়িত্বে থাকুক না কেন তারা যেন কোনো কিছু মানুষকে চাপিয়ে দেওয়ার সাহস না করে এবং আমাদের প্রকৃত সংস্কৃতি ধারণ করার জন্য তাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা যেন তারা রাখে।’

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর