রবিবার, ৪ঠা মে ২০২৫, ২০শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • পাকিস্তান থেকে সব ধরনের আমদানি নিষিদ্ধ করল ভারত
  • মহাসমাবেশ থেকে হেফাজতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
  • চাঁদপুরে ২ শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
  • আরও ১ লাখ ১৫ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ
  • সরকারের হস্তক্ষেপ না থাকায় গণমাধ্যম সূচকে ১৬ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ
  • শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি মিছিল
  • করিডর দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে
  • আ. লীগ নিষিদ্ধসহ ১২ দফা দাবি হেফাজতের
  • সন্ধ্যায় ঢাকায় আসছেন কানাডার বাণিজ্য প্রতিনিধি
  • আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল নয় সন্ত্রাসী সংগঠন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে লুটপাট, চাঁদাবাজি নিয়ে কড়া সমালোচনা ইশরাকের

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
২১ এপ্রিল ২০২৫, ১৬:৩৫

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে দেশব্যাপী সংগঠিত হচ্ছে চাঁদাবাজি, দখলদারি ও লুটপাটের নানা অভিযোগ—এমন মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। তিনি বলেন, “এই সংগঠনটি গঠিত হয়েছিল খুনি, স্বৈরাচারী, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনকে বেগবান করার লক্ষ্যে, তার চূড়ান্ত পতনের প্রেক্ষিতে। কিন্তু আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি, সেই উদ্দেশ্য বিকৃত হয়ে গেছে।”

তিনি দাবি করেন, প্রায় ২৭টি ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত এই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনটি প্রথম গঠিত হয় জুলাই-আগস্ট মাসে, হাসিনাবিরোধী গণআন্দোলনের জোয়ার সৃষ্টি করতে। কিন্তু বর্তমানে সংগঠনটির ব্যানার ব্যবহার করে বিভিন্ন থানা, মার্কেট এবং টার্মিনালভিত্তিক কমিটি গঠন করে চলছে অর্থনৈতিক অপকর্ম।

উদাহরণ টেনে ইশরাক বলেন, “আজ বনানী থানার ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বনানী থানা কমিটি’—এটা আসলে কী ধরনের কমিটি? বনানী থানা কমিটি রয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর এবং তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর। প্রশ্ন হলো, যদি হাসিনা সত্যিই ক্ষমতা হারিয়ে থাকে, যদি ‘বিপ্লব’ হয়ে থাকে—তাহলে এখন থানাভিত্তিক কমিটি গঠনের কী প্রয়োজন?”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “এই ব্যানার ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় মার্কেট দখল, ইজারা নিয়ে লুটপাট, চাঁদাবাজি এবং সুনির্দিষ্ট গোষ্ঠীর অর্থনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য সংগঠনটি ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যে বহু উদাহরণ পেয়েছি—যেখানে ‘বৈষম্যবিরোধী’ শব্দটিকে ব্যবহার করে সংগঠনের আদর্শিক ভিত্তিকে কলুষিত করা হয়েছে।”

ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন এই কর্মকাণ্ডকে ‘আদর্শের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা’ উল্লেখ করে বলেন, “এই অপচেষ্টা বন্ধ না হলে ভবিষ্যতে এই সংগঠনটি সাধারণ মানুষের আস্থা হারাবে, এবং আসল আন্দোলন বাধাগ্রস্ত হবে।”

তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান, “আসল উদ্দেশ্য যেন হারিয়ে না যায়—তা নিশ্চিত করতে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যেন দখলদার, লুটেরা ও সুবিধাবাদীদের প্ল্যাটফর্মে পরিণত না হয়, সেটি দেখতে হবে।”


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর