বুধবার, ১৮ই জুন ২০২৫, ৪ঠা আষাঢ় ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • মেয়েকে ধর্ষণের মামলায় সৎ বাবার মৃত্যুদণ্ড
  • বিএনপি নেতাকর্মীদের যে পরামর্শ দিলেন সারজিস আলম
  • গুজরাটে মুষলধারে বৃষ্টিপাত, অন্তত ১৮ জনের প্রাণহানি
  • লিবিয়া উপকূলে জাহাজডুবি: অন্তত ৬০ জন শরণার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশী নিখোঁজ
  • হত্যা মামলায় সাবেক মেয়র আইভী ২ দিনের রিমান্ডে
  • নিখোঁজের ২০ ঘণ্টা পর পুকুরে মিলল ২ কন্যা শিশুর বিবস্ত্র লাশ
  • দীর্ঘ ২ বছর পরে কূটনৈতিক সমঝোতায় ভারত ও কানাডা
  • দেড় শ ছাড়ালেন মুশফিক, ফিফটির দেখা লিটনের
  • নারায়ণগঞ্জে হাকিম মার্কেটে আগুন
  • দেশব্যাপী নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করল এনসিপি

‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে আটকদের অধিকাংশই ভারতীয় মুসলমান

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত:
২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬:৩০

সারা ভারতজুড়ে পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের ‘বাংলাদেশি’ বলে অপমান ও হামলার অভিযোগ বেড়েই চলেছে। এই বিষয়ে ‘পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চ’ নামক সংগঠন জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অন্তত ১০০টি অভিযোগ পেয়েছে, যেখানে পশ্চিমবঙ্গের বাংলাভাষী মুসলিম শ্রমিকদের সন্দেহজনকভাবে বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে হেনস্থা, নিগ্রহ, এমনকি মারধর করা হয়েছে।

সংগঠনটি জানায়, ১৮ এপ্রিল মালদা জেলার ২৩ জন ফেরিওয়ালাকে উত্তরপ্রদেশের কুশিনগরে স্থানীয় লোকজন বাংলাদেশি দাবি করে মারধর করে। মূলত বাংলাভাষায় কথা বলায় তাদের সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পরে আহত অবস্থায় তাদের পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয় এবং একদিন পর মুক্তি দেওয়া হয়।

এরপর ২১ এপ্রিল মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থেকে ৬০ জন পরিযায়ী শ্রমিক একটি বাসে করে কর্মস্থল ওড়িশার কেওনঝড়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কিন্তু ময়ূরভঞ্জ জেলার জসিপুরে পৌঁছানোর পর স্থানীয়দের সন্দেহে পড়েন তারা। শ্রমিকদের বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে মারধর করা হয়, ফলে তারা ফিরে যেতে বাধ্য হন।

আরও একটি অভিযোগ এসেছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থেকে। অভিযোগে বলা হয়, একজন ফেরিওয়ালা ইদের পরে ভদ্রক টাউন থানা এলাকায় ব্যবসা করতে গেলে তাকেও বাংলাদেশি হিসেবে অপমান ও হেনস্থা করা হয়।

পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চের প্রধান আসিফ ফারুক জানান, “২০১৪ সাল থেকেই এমন ঘটনা চলছে, তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ করে পহেলগামের হামলার ঘটনার পর এসব ঘটনার সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। কোথাও পুলিশ, কোথাও হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলোর কর্মীরা পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম শ্রমিকদের টার্গেট করছে। তারা ভারতীয় নাগরিক হয়েও কেবলমাত্র ভাষা ও ধর্মের ভিত্তিতে ‘বাংলাদেশি’ হিসেবে ট্যাগ পাচ্ছেন।”

তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “ভারতের সংবিধান অনুযায়ী দেশের যেকোনো নাগরিকের যেকোনো রাজ্যে কাজ করার অধিকার আছে। তাহলে কেন শুধুমাত্র বাংলাভাষী মুসলিম হওয়ায় আমাদের শ্রমিকদের হেনস্থা করা হচ্ছে?”

এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে সামাজিক সম্প্রীতি এবং অভ্যন্তরীণ অভিবাসনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে বলে মনে করছেন মানবাধিকার সংগঠনগুলো।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর