রবিবার, ৪ঠা মে ২০২৫, ২০শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • পাকিস্তান থেকে সব ধরনের আমদানি নিষিদ্ধ করল ভারত
  • মহাসমাবেশ থেকে হেফাজতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
  • চাঁদপুরে ২ শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
  • আরও ১ লাখ ১৫ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ
  • সরকারের হস্তক্ষেপ না থাকায় গণমাধ্যম সূচকে ১৬ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ
  • শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি মিছিল
  • করিডর দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে
  • আ. লীগ নিষিদ্ধসহ ১২ দফা দাবি হেফাজতের
  • সন্ধ্যায় ঢাকায় আসছেন কানাডার বাণিজ্য প্রতিনিধি
  • আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল নয় সন্ত্রাসী সংগঠন

কাপ্তাই হ্রদের ‘দ্বীপে’ রিসোর্ট-কটেজ, টানছে পর্যটক

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৩:৩৫

স্বচ্ছ নীল জলের ওপর চলছে নৌকা। জেলেরা ব্যস্ত মাছ শিকারে। পাশেই পানকৌড়ি ও গাঙচিলের ওড়াউড়ি। এ মনোরম দৃশ্য রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের। হ্রদের বুকে জেগে থাকা ‘দ্বীপে’ বসেই এসব দৃশ্য এখন উপভোগ করতে পারছেন পর্যটকেরা।

দ্বীপ বলা হলেও এসব মূলত ডুবে থাকা ছোট ছোট পাহাড়-টিলা। কাপ্তাই হ্রদে এ ধরনের অসংখ্য ছোট ছোট দ্বীপ রয়েছে, যেখানে গড়ে উঠছে পর্যটকদের জন্য রিসোর্ট-রেস্তোরাঁ। এরই মধ্যে ২৫ থেকে ৩০টি রিসোর্ট গড়ে উঠেছে। জেলায় আসা পর্যটকদের কাছে সময় কাটানোর অন্যতম প্রিয় স্থান হয়ে উঠছে এসব রিসোর্ট-কটেজ।

পর্যটন–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০০২ সালে রাঙামাটি শহরের কাছেই কাপ্তাই হ্রদের বুকে ‘পেদা টিং টিং’ নামের একটি রেস্তোরাঁ চালু হয়। রেস্তোরাঁটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে। ২০০৫ সালে রাঙামাটি-লংগদু-বরকল ও জুরাছড়ি নৌপথ ঘেঁষে কাউন্দ্যামূখ এলাকায় ‘চাং পাং’ নামে আরেকটি রেস্টুরেন্ট চালু হয়। এর পর থেকে পর্যায়ক্রমে রেস্তোরাঁ-রিসোর্ট গড়ে উঠতে শুরু করে। তবে গত সাত থেকে আট বছরের মধ্যে দ্বীপকেন্দ্রিক রিসোর্ট-রেস্তোরাঁ বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

রাঙামাটি বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছে প্রধান আকর্ষণ কাপ্তাই হ্রদ। এখন দিনভর ঘোরাঘুরি পর হ্রদের বুকে জেগে থাকা দ্বীপে রাত কাটাতে পেরে পর্যটকেরাও খুশি। দ্বীপের রিসোর্টের বাইরে হ্রদে রাত কাটানোর জন্য রয়েছে হাউসবোটও। দ্বীপের রিসোর্টগুলোতে রাখা হয়েছে তারকা মানের হোটেলের মতোই আরামদায়ক কক্ষ। পর্যটকদের জন্য থাকে বেম্বো চিকেন, বাঁশকোড়ল, কেবাংসহ রকমারি পাহাড়ি খাবারের ব্যবস্থা। কাপ্তাই হ্রদের তরতাজা মাছ তো আছেই। এ ছাড়া নানা বিনোদনের উপকরণ রয়েছে, যার কারণে পর্যটকেরাও ছুটে আসছেন।

নীলাঞ্জনা হাউসবোট ও রিসোর্টের মালিক দীপাঞ্জন দেওয়ান প্রথম আলোকে বলেন, যানজটের শহর ছেড়ে একটু বিশ্রাম নেওয়ার জন্য পাহাড়ে বেড়াতে আসেন অনেক মানুষ। নিরিবিলি স্থানে থাকতে তাঁরা পছন্দ করেন। তাই তাঁদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে দ্বীপের রিসোর্টগুলো।

চাং পাং রেস্টুরেন্টের মালিক পল্টু চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রামসহ সারা দেশ থেকে রাঙামাটিতে যেসব পর্যটক আসেন, তাঁদের ঘোরাঘুরি বেশি থাকে কাপ্তাই হ্রদ ঘিরে। তাই তাঁদের সুবিধার্থে হ্রদের দ্বীপেই রেস্টুরেন্ট গড়ে তোলা হয়েছিল। এখন রেস্টুরেন্টের পাশাপাশি পর্যটকদের রাতযাপনের রিসোর্টও গড়ে উঠেছে। হ্রদের পাশে থাকা-খাওয়ার সুবিধা পেয়ে পর্যটকেরা বেশ খুশি।

বার্গী লেক ভ্যালি রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুমেধ চাকমা বলেন, গত কয়েক বছরে রাঙামাটিতে পর্যটনে যত উন্নয়ন কিংবা বিনিয়োগ হয়েছে, সব কাপ্তাই হ্রদকেন্দ্রিক। এখন প্রতিটি দ্বীপ ও পাড়ের ভিউ পয়েন্টের রেস্টুরেন্ট-রিসোর্ট-কটেজ নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, পর্যটনে বেসরকারি উদ্যোগে বিনিয়োগ হলেও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাব রয়েছে। পর্যটন খাতে কয়েক হাজার মানুষ কাজ করেন। তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা অন্তত সরকারিভাবে নেওয়া হলে পর্যটন খাতের আরও উন্নয়ন হতো।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর