বুধবার, ১৮ই জুন ২০২৫, ৪ঠা আষাঢ় ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • মেয়েকে ধর্ষণের মামলায় সৎ বাবার মৃত্যুদণ্ড
  • বিএনপি নেতাকর্মীদের যে পরামর্শ দিলেন সারজিস আলম
  • গুজরাটে মুষলধারে বৃষ্টিপাত, অন্তত ১৮ জনের প্রাণহানি
  • লিবিয়া উপকূলে জাহাজডুবি: অন্তত ৬০ জন শরণার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশী নিখোঁজ
  • হত্যা মামলায় সাবেক মেয়র আইভী ২ দিনের রিমান্ডে
  • নিখোঁজের ২০ ঘণ্টা পর পুকুরে মিলল ২ কন্যা শিশুর বিবস্ত্র লাশ
  • দীর্ঘ ২ বছর পরে কূটনৈতিক সমঝোতায় ভারত ও কানাডা
  • দেড় শ ছাড়ালেন মুশফিক, ফিফটির দেখা লিটনের
  • নারায়ণগঞ্জে হাকিম মার্কেটে আগুন
  • দেশব্যাপী নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করল এনসিপি

প্রত্যাঘাতে কতটা সক্ষম মোদি, প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
৩ মে ২০২৫, ১৩:০৫

কাশ্মীরের পেহেলগাঁও হামলার জবাবে পাকিস্তানকে প্রত্যাঘাতের প্রশ্নে ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দল কংগ্রেস মোদি সরকারের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল। কিন্তু ১০ দিন কেটে গেলেও প্রত্যাঘাত বা হামলায় জড়িত সন্ত্রাসবাদীদের সন্ধান না পাওয়ায় মোদি সরকারের ‘পারদর্শিতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস।

মোদি সরকারকে নিশানা করে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের অভিযোগ, পেহেলগাঁও ঘটনার অনেক দিন পরেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনও স্পষ্ট রণনীতি দেখা যায়নি।

শুক্রবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে পাকিস্তানকে পেহেলগাঁও হামলার জবাব নিয়ে মোদি সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কংগ্রেস নেতা চরণজিৎ সিং চন্নী বলেছেন, “উরির হামলার জবাবে সার্জিকাল স্ট্রাইকের এখনও কোনও প্রমাণ মেলেনি। পুলওয়ামার জবাবে বালাকোটে বিমান বাহিনী বোমা ফেলেছিল বলে যে দাবি, তা-ও কেউ জানতে পারেনি। আমাদের দেশে বোমা পড়লে আমরা কি জানতে পারতাম না?”

কংগ্রেস নেতা ভূপেশ বঘেল নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, “হামলায় প্রাণহানির দায় কে নেবেন? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? প্রতিরক্ষামন্ত্রী? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কি এই ঘটনার পরে ইস্তফা দেওয়া উচিত ছিল না?”

পেহেলগাঁওয়ের ঘটনার প্রত্যাঘাত কবে হবে, দেশজুড়ে এ নিয়ে প্রশ্নের মুখে আচমকা মোদি সরকারের জাতগণনার সিদ্ধান্ত নিয়েও কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছে। কংগ্রেসের প্রশ্ন, পেহেলগাঁওয়ে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা ব্যর্থতা এবং তারপরে প্রত্যাঘাত করতে দেরি হওয়া থেকে নজর ঘোরাতেই কি আচমকা জাতগণনার সিদ্ধান্ত? অথচ গত ১১ বছর ধরে বিজেপি জাতগণনার বিরোধিতা করে আসছে।

কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের গোড়াতেই দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, “এতদিন বিরোধিতা করার পরে জাতগণনার সিদ্ধান্তের জন্য এই সময়কে বেছে নেওয়ায় আমরা আশ্চর্য হয়েছি। এ নিয়ে অনেক সন্দেহ আমাদের মনে তৈরি হয়েছে।”

ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে রাহুল গান্ধী বলেন, জাতগণনা প্রথম ধাপ। তফসিলি জাতি, জনজাতির সঙ্গে ওবিসিদের সংখ্যা গণনা করলেই হবে না। দলিত, আদিবাসী, অনগ্রসরদের চাকরি, আয়, শিক্ষা, সামাজিক অবস্থানের কথা জানতে জাতগণনার সময় সঠিক প্রশ্ন করতে হবে। রাহুল গান্ধীর জাতগণনার দাবিই মোদি সরকার মেনে নিয়েছে বলে বৈঠকে কংগ্রেস নেতারা তাকে অভিনন্দন জানান।

কংগ্রেসের দাবি, তেলঙ্গানায় কংগ্রেস সরকার জাতগণনার সময় ৫৬টি প্রশ্ন নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছিল। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জাতগণনার কাজ শেষ করে জনসংখ্যায় ভাগ অনুযায়ী তফসিলি জাতি, জনজাতি, ওবিসিদের সংরক্ষণ দিতে হবে। তার জন্য সংরক্ষণে ৫০ শতাংশের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দিতে হবে। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও সংরক্ষণ চালু করতে হবে।

কংগ্রেস নেতা সচিন পাইলট বলেন, ‘‘জাতগণনাকে এতদিন বিজেপি ভোটের বিভাজন বলে দাবি করছিল। বিজেপির এক বড় নেতা (যোগী আদিত্যনাথ) বলেছিলেন, বাঁটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়। জাতগণনাকে শহুরে নকশালদের ভাবনা বলেছিলেন তিনি।”

ভূপেশ বঘেল বলেন, “নিতিন গডকড়ী বলেছিলেন- জাতের কথা বললে লাথি খেতে হবে। এখন সেই বিজেপিই জাতগণনার সিদ্ধান্ত নিয়ে ঢাক পেটাচ্ছে। রং বদলানোর প্রতিযোগিতায় বিজেপি গিরগিটিকেও লজ্জায় ফেলে দেবে।”


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর