সোমবার, ৯ই জুন ২০২৫, ২৬শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • চারদিনের সফরে আজ যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • মাদ্রাসা নিয়ে বিশাল সুখবর দিলেন অর্থ উপদেষ্টা
  • যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাজ্য
  • সান্ডা কিনলে পান্ডা ফ্রি
  • তরুণ সূর্যসদৃশ নক্ষত্রের চারপাশে প্রথমবার পানির অস্তিত্ব আবিষ্কার
  • আমরা এমন কর্মসূচি দেব, আপনারা কল্পনা করতে পারবেন না
  • ট্রাম্পের শুল্কে ছারখার বিশ্ব অর্থনীতি প্রবৃদ্ধির পতনে হুঁশিয়ারি
  • ভারতীয় সেনা ও মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা মুখোমুখি
  • ২০০ বিলিয়ন ডলার সম্পদের মাত্র ১% সন্তানদের দিচ্ছেন বিল গেটস
  • সৌর ঝড় কী এবং কেন হয়

টেকনাফে অপহৃত ১৪ জনকে উদ্ধার করলো বিজিবি

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
১১ মে ২০২৫, ১৬:৪৫

কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণকারীদের আস্তানা থেকে ১৪ জনকে উদ্ধার করছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

শনিবার (১০ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী এলাকার মানবপাচার চক্রের মুলহোতা সাইফুল ইসলামের আস্তানা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। তবে এ সময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, টেকনাফে দীর্ঘদিন ধরেই অপহরণ চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে বিজিবির। সম্প্রতি মালয়েশিয়াতে পাচারের জন্যে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশিকে অপহরণ করে সদর ইউনিয়ন দক্ষিণ লম্বরী সাইফুল ইসলামের বাড়িতে জিম্মি করে রাখা আছে বলে সংবাদ আসে। সেই সংবাদের ভিত্তিতেই শনিবার রাতে সাইফুলের গোপন আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করে ১৪ জন বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগী ১৪ জনকে দেশের বিভিন্ন জেলা এবং উপজেলা থেকে দালালের মাধ্যমে নানা ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে এনে জিম্মি করে রাখেন তারা। পরে ভুক্তভোগীদের পরিবারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করেন অপহরণকারীরা। মুক্তিপণের জন্য শারীরিক নির্যাতনও চালায় তারা। এ বিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। উদ্ধারকৃত ভুক্তভোগীদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক বলেন, কারা এই অপহরণে জড়িত, কী উদ্দেশ্যে অপহরণ করা হয়েছে তাদের- তা জানতে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলছি আমরা। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উদ্ধারকৃত কক্সবাজারের বাসিন্দা মো. কাসেম ও মহিন উদ্দিন বলেন, ইনানীতে বেড়াতে গিয়েছিলেন তারা। সেখান থেকে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকের প্রলোভনে টেকনাফে গেলে অপহরণ করে একটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের।

সেখানে আরও বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে রাখা হয়। পরে মারধর করে তাদের পরিবারের কাছে ভিডিও পাঠিয়ে এক লাখ করে টাকা আদায় করা হয়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল সাগরপথে পাচারের জন্য দালালদের কাছে তাদের বিক্রি করে দেওয়া। অবশেষে বিজিবি এসে তাদের উদ্ধার করায় কৃতজ্ঞতা জানান তারা।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর