সোমবার, ৯ই জুন ২০২৫, ২৬শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • চারদিনের সফরে আজ যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • মাদ্রাসা নিয়ে বিশাল সুখবর দিলেন অর্থ উপদেষ্টা
  • যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাজ্য
  • সান্ডা কিনলে পান্ডা ফ্রি
  • তরুণ সূর্যসদৃশ নক্ষত্রের চারপাশে প্রথমবার পানির অস্তিত্ব আবিষ্কার
  • আমরা এমন কর্মসূচি দেব, আপনারা কল্পনা করতে পারবেন না
  • ট্রাম্পের শুল্কে ছারখার বিশ্ব অর্থনীতি প্রবৃদ্ধির পতনে হুঁশিয়ারি
  • ভারতীয় সেনা ও মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা মুখোমুখি
  • ২০০ বিলিয়ন ডলার সম্পদের মাত্র ১% সন্তানদের দিচ্ছেন বিল গেটস
  • সৌর ঝড় কী এবং কেন হয়

ক্যারিয়ারের চিন্তায় মা হতে পারেননি ইন্দ্রাণী

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত:
১১ মে ২০২৫, ১৮:১৭

টলিউডের খ্যাতিমান অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার। ছোট-বড় দুই পর্দাতেই যার উজ্জ্বল উপস্থিতি। বলা বাহুল্য, টালিগঞ্জের অন্যতম সফল অভিনেত্রী তিনি। তবে তার জীবনে রয়েছে এক বড় আফসোস। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানালেন সে কথাই।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার জানান, ক্যারিয়ারের চিন্তায় মা হতে পারেননি তিনি। স্বামীকেও দিতে পারেনি একজন বাবা হওয়ার অভিজ্ঞতা। শুধু তাই নয়, সেই সাক্ষাৎকারে একজন স্ত্রী হিসেবে নিজেকে তুচ্ছ কিংবা ব্যর্থ হিসেবে তুলে ধরেন অভিনেত্রী।

ইন্দ্রাণীর কথায়, ‘স্ত্রী হিসেবে নিজেকে শূন্য মার্ক দিতে চাই। আমি বাজে বউ একদম। বরকে রান্না করে ভাত বেড়ে দেই না। বর কলকাতার বাইরে থাকে, এখানে এলে আমি বলতে থাকি, এই আমি ভাত রেখে গেলাম, খেয়ে নিও। আমার দেরি হচ্ছে, আমি গেলাম গেলাম… আসলে আমি যৌথ পরিবারের মেয়ে, ওই ইচ্ছেটা তো আছে। কিন্তু শ্যুটিংয়ের চাপে করে উঠতে পারি না।’

এরপর ইন্দ্রাণী মনে জমে থাকা কষ্ট তুলে ধরেন। বলেন, ‘আরেকটা জিনিস যেটা আমি করতে পারিনি। যেটা বলতে আমার কোনো আপত্তি নেই। এখনও ভাবলে আফসোস হয়। ক্যারিয়ার, কাজ, দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সন্তানের জন্ম দেওয়া হয়নি আমার। সেটা আমাদের দুজনের মধ্যেই (অভিনেত্রীর স্বামী) একটা আফসোস।’

 অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘ভাস্কর (ইন্দ্রাণীর স্বামী) মাঝেমাঝেই বলে, শুধু সংসারের জন্য দায়িত্বই পালন করে গেলে… একটা সময় আমরা চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু হলো না। তারপর আমরা হাল ছেড়ে দিলাম। তোমারও ৪০-এর বেশি বয়স, আমারও। আর দরকার নেই থাক। আমি একটা দত্তক নিতে চেয়েছিলাম, ভাস্কর রাজি হয়নি। আমার মনে হয়, স্ত্রী হিসেবে আমি ভাস্করকে বাবা হওয়ার সুখটা দিতে পারতাম, কিন্তু সেই ব্যাপার আমি অক্ষম।’

যদিও অভিনেত্রী স্পষ্ট করেছিলেন যে, সন্তান না থাকলেও তার ও তার স্বামী ভাস্কর রায়ের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি নেই।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর