সোমবার, ৯ই জুন ২০২৫, ২৬শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • চারদিনের সফরে আজ যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • মাদ্রাসা নিয়ে বিশাল সুখবর দিলেন অর্থ উপদেষ্টা
  • যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাজ্য
  • সান্ডা কিনলে পান্ডা ফ্রি
  • তরুণ সূর্যসদৃশ নক্ষত্রের চারপাশে প্রথমবার পানির অস্তিত্ব আবিষ্কার
  • আমরা এমন কর্মসূচি দেব, আপনারা কল্পনা করতে পারবেন না
  • ট্রাম্পের শুল্কে ছারখার বিশ্ব অর্থনীতি প্রবৃদ্ধির পতনে হুঁশিয়ারি
  • ভারতীয় সেনা ও মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা মুখোমুখি
  • ২০০ বিলিয়ন ডলার সম্পদের মাত্র ১% সন্তানদের দিচ্ছেন বিল গেটস
  • সৌর ঝড় কী এবং কেন হয়

জাপানে ১৮.৫ ঘণ্টা কাজ, কর্মসংস্কৃতি নিয়ে প্রশ্ন

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
১৮ মে ২০২৫, ১৫:২৬

জাপানে একজন অফিসকর্মীর ১৮.৫ ঘণ্টা কাজ করার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এতে দেশটির চাকরির পরিবেশ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।

ইউটিউবে প্রকাশিত এই ভিডিওটির শিরোনাম ‘জীবনের এক দিন : কালো কম্পানিতে বেতনভোগী’। ইতিমধ্যেই এটি ১০ লাখের বেশি ভিউ পেয়েছে।

ভিডিওটিতে একজন কর্মচারীর এক দিনের কর্মজীবন তুলে ধরা হয়েছে, যা শুরু হয় সকাল ৭টা থেকে এবং শেষ হয় গভীর রাতে। অফিসে পৌঁছতে তার সময় লাগে প্রায় দেড় ঘণ্টা। দিনের মধ্যে মাত্র একটি ছোট কফি বিরতি ও মধ্যাহ্নভোজ ছাড়া আর কোনো বিশ্রাম নেই। তিনি রাত ৮টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত কাজ করেন এবং বাড়ি ফেরেন রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে।

খাবার শেষ করেন রাত ১১:৩০-এ এবং ঘুমাতে যান রাত ১:১৫-এ। ভিডিওটিতে কর্মীটি তার অফিসকে ‘কালো কম্পানি’ বলে আখ্যা দেন। জাপানি পরিভাষায় কালো কম্পানি বলতে এমন সংস্থাকে বোঝায়, যারা কর্মীদের দীর্ঘ সময় ধরে খাটায়, কম বেতন দেয় এবং খারাপ আচরণ করে। তিনি জানান, এসব প্রতিষ্ঠান নবীন কর্মীদের অভিজ্ঞতার অভাবকে কাজে লাগিয়ে চুপ করিয়ে রাখে।

চাকরি ছাড়তে চাইলেও কর্মীদের বিশ্বাসঘাতক বলা হয় এবং চাপ প্রয়োগ করা হয়।
অনেক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী এই পরিস্থিতিকে অমানবিক বলে আখ্যা দিয়েছেন। কেউ লিখেছেন, ‘মানুষের কখনোই এভাবে বাঁচার কথা নয়।’ অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, ‘কম্পানি হয়তো রাতের কাজ মনে রাখবে না, কিন্তু আপনার পরিবার মনে রাখবে।’

এই ভিডিও জাপানের দীর্ঘ কাজের সময়, কর্মক্ষেত্রের শোষণ ও কর্মজীবনের ভারসাম্য নিয়ে নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি করেছে।

কেউ কেউ বলেছেন, এই বাস্তবতা জাপানে কম জন্মহার ও মানসিক চাপ বৃদ্ধির একটি বড় কারণ হতে পারে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর