সোমবার, ৯ই জুন ২০২৫, ২৬শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • চারদিনের সফরে আজ যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • মাদ্রাসা নিয়ে বিশাল সুখবর দিলেন অর্থ উপদেষ্টা
  • যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাজ্য
  • সান্ডা কিনলে পান্ডা ফ্রি
  • তরুণ সূর্যসদৃশ নক্ষত্রের চারপাশে প্রথমবার পানির অস্তিত্ব আবিষ্কার
  • আমরা এমন কর্মসূচি দেব, আপনারা কল্পনা করতে পারবেন না
  • ট্রাম্পের শুল্কে ছারখার বিশ্ব অর্থনীতি প্রবৃদ্ধির পতনে হুঁশিয়ারি
  • ভারতীয় সেনা ও মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা মুখোমুখি
  • ২০০ বিলিয়ন ডলার সম্পদের মাত্র ১% সন্তানদের দিচ্ছেন বিল গেটস
  • সৌর ঝড় কী এবং কেন হয়

আবারও নতুন তেলের খনি আবিষ্কার হলো যে দুই দেশে

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
২৭ মে ২০২৫, ১৭:৫৯

সৌদি আরব ও কুয়েত সম্প্রতি এমন এক খবরে বিশ্ব তেল বাজারে আলোড়ন তুলেছে, যা তাদের শক্তির জোগানদাতা হিসেবে গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে তুলবে। দুই দেশ যৌথভাবে পার্টিশনড জোন নামে পরিচিত সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নতুন একটি তেলক্ষেত্রের সন্ধান পেয়েছে।

এই অঞ্চলটি মূলত দুই দেশের মাঝে ১৯২২ সালে চুক্তির মাধ্যমে নির্ধারিত হয়েছিল। এবার সেই পার্টিশনড জোনের উত্তর ওয়াফরা অঞ্চলে, ওয়ারা-বুরগান নামের একটি কূপ থেকে দৈনিক ৫০০ ব্যারেলের বেশি তেল উৎপাদন শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখানে উৎপাদিত তেলের মান (API গ্র্যাভিটি ২৬-২৭) খুবই ভালো।

এই আবিষ্কার শুধু আরেকটি তেলক্ষেত্র নয়— এটি ২০২০ সালে এই অঞ্চলে উৎপাদন কার্যক্রম আবার শুরু হওয়ার পর প্রথম বড় সাফল্য। তাই এর গুরুত্ব অনেক বেশি। সৌদি ও কুয়েত উভয়েই বলছে, এই খোঁজ তাদের জ্বালানি সরবরাহকারীর হিসেবে বিশ্বে নির্ভরযোগ্যতা আরও বাড়াবে।

সৌদি আরব এই মুহূর্তে ওপেক প্লাসের নেতৃত্ব দিচ্ছে, যেখানে তাদের লক্ষ্য বাজারে ভারসাম্য রক্ষা করা। অন্যদিকে, কুয়েত আগামী পাঁচ বছরে প্রতিদিন তিন মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জনে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে।

আরও বড় পরিকল্পনাও রয়েছে— ২০৪০ সালের মধ্যে কুয়েত তাদের টেকসই উৎপাদন ক্ষমতা চার মিলিয়ন ব্যারেল পর্যন্ত বাড়াতে চায়। এর অংশ হিসেবে এই নতুন তেল আবিষ্কার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।

সব মিলিয়ে, এই খোঁজ শুধু দুই দেশের জন্য নয়, গোটা বিশ্বের জ্বালানি ভবিষ্যতের জন্যই একটি আশার আলো। বিশ্ব যখন জ্বালানির নিরাপত্তা ও পরিবেশগত ভারসাম্য নিয়ে চিন্তিত, তখন এমন এক সাফল্য কিছুটা হলেও আশ্বস্ত করে।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর