সোমবার, ৯ই জুন ২০২৫, ২৬শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • চারদিনের সফরে আজ যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • মাদ্রাসা নিয়ে বিশাল সুখবর দিলেন অর্থ উপদেষ্টা
  • যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাজ্য
  • সান্ডা কিনলে পান্ডা ফ্রি
  • তরুণ সূর্যসদৃশ নক্ষত্রের চারপাশে প্রথমবার পানির অস্তিত্ব আবিষ্কার
  • আমরা এমন কর্মসূচি দেব, আপনারা কল্পনা করতে পারবেন না
  • ট্রাম্পের শুল্কে ছারখার বিশ্ব অর্থনীতি প্রবৃদ্ধির পতনে হুঁশিয়ারি
  • ভারতীয় সেনা ও মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা মুখোমুখি
  • ২০০ বিলিয়ন ডলার সম্পদের মাত্র ১% সন্তানদের দিচ্ছেন বিল গেটস
  • সৌর ঝড় কী এবং কেন হয়

ঝুঁকি সত্ত্বেও পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহে চলছে শতাধিক পরিবারের সংসার

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
২ জুন ২০২৫, ১৫:০৪

দেশের নানা জেলায় নানা ধরনের পণ্যের হাট বসলেও শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের প্রত্যন্ত গ্রামে বসছে এক ব্যতিক্রমী পিঁপড়ার ডিমের হাট। বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই হাটে চলে পিঁপড়ার ডিম বিক্রি। জেলার তিনটি সীমান্তবর্তী উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও জামালপুরের বকসিগঞ্জের গারো পাহাড়ের শাল-গজারি বন এলাকা থেকে ডিম বিক্রেতারা এখানে জমায়েত হন।

এ হাটে শতাধিক বেকার ও কর্মহীন আদিবাসী ও বাঙালি মানুষ পেশার মাধ্যমে সংসার চালান। তবে সারাবছর পিঁপড়ার ডিম পাওয়া যায় না। বর্ষাকালে মূলত লাল বড় পিঁপড়া শাল-গজাড়ির মগ ডালের পাতা ও গাছের খোড়লের গর্তে বাসা বানিয়ে ডিম পাড়ে। এই ডিম বড়শিতে সৌখিন মাছ শিকারিরা মাছ ধরার প্রয়োজনে ব্যবহার করে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার রাংটিয়া বাজার ও বাঁকাকূড়া বাজারে বিকালের দিকে পিঁপড়ার ডিমের হাট বসে। বিকালের মধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে ডিম সংগ্রাহকরা এখানে জমায়েত হন। সন্ধ্যা নামতেই পাইকাররা কেজিতে এক হাজার টাকা দিয়ে ডিম সংগ্রাহকদের কাছ থেকে ক্রয় করে নেয়। পরে এই ডিম শেরপুর ও ঢাকায় বিক্রি করা হয়।

সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত পাহাড়ের শাল-গজাড়ি বন, আম, জাম, লিচু সহ বিভিন্ন গাছ থেকে বাঁশের আগায় তৈরি নেট বা জালের মতো ‘ঠোঙা’ দিয়ে ডিম সংগ্রহ করা হয়। একজন সংগ্রাহক দিনে ৩০০ গ্রাম থেকে সর্বোচ্চ এক কেজি পর্যন্ত ডিম সংগ্রহ করতে পারেন। রাংটিয়া হাট ছাড়াও পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে স্থানীয় পাইকারা ডিম সংগ্রহ করে শেরপুর ও ঢাকায় মৎস্য চাষিদের কাছে বিক্রি করেন।

পাহাড়ে এ সময় কোনো কৃষিকাজ না থাকায় বেকার আদিবাসী ও বাঙালি মানুষ এ পেশায় জড়িত থাকেন। তবে ডিম সংগ্রহের সময় হাতি, সাপ ও মৌমাছির আক্রমণের ঝুঁকিও রয়েছে, যা গ্রামবাসী ও সংগ্রাহকরা জানায়।

প্রকৃতিতে জীববৈচিত্র্য রক্ষা করার দিক থেকে পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীন ভয়েসের সাধারণ সম্পাদক মারুফুর রহমান বলেন, “প্রকৃতির ক্ষতি হওয়া ঠিক নয়। পিঁপড়ার ডিম বনের পাখি ও অন্যান্য প্রাণীর খাদ্য। খাদ্য সংকটে পাখির অস্তিত্ব সংকট দেখা দিতে পারে। তবে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ডিম সংগ্রাহকদের অন্য পেশায় যাওয়ার উপায় নেই।”

তবে পিঁপড়ার ডিম চাষের পদ্ধতি রয়েছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ যদি তাদের এই চাষাবাদের প্রশিক্ষণ দেয়, তাহলে তারা বন-জঙ্গল থেকে ঝুঁকি নিয়ে ডিম সংগ্রহ করতে হবে না। এতে প্রকৃতির ক্ষতি কমবে এবং সংগ্রাহকদের জীবিকা নির্বাহের উপায় নিশ্চিত হবে।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর