প্রকাশিত:
১১ জুন ২০২৫, ১৪:১৪
বর্তমানের ব্যস্ত ও দূষণে ভরা জীবনযাত্রায় অল্প বয়সেই ফুসফুসের সমস্যা বাড়ছে। শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, সিওপিডি-র মতো অসুখ তো রয়েছেই, তার সঙ্গে বাড়ছে ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকিও। ধূমপান, বায়ুদূষণ, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস—সব মিলিয়ে প্রতিদিনই ফুসফুসের উপর বাড়ছে চাপ। তবে প্রতিদিনের খাদ্যাভাসে কিছু সাধারণ খাবার রাখলে সহজেই ফুসফুসকে রাখা যায় পরিষ্কার ও সক্রিয়।
চলুন, জেনে নিই এমনই ৫টি প্রাকৃতিক উপাদান সম্পর্কে যা নিয়মিত খেলে ফুসফুস থাকবে সুস্থ।
আদা
আদার মধ্যে থাকা প্রদাহবিরোধী উপাদান ফুসফুসের প্রদাহ কমায় এবং জমে থাকা শ্লেষ্মা দূর করতে সাহায্য করে। এটি শ্বাসপ্রশ্বাস সহজ করে। প্রতিদিন সামান্য কাঁচা আদা খান, মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে কার্যকারিতা আরও বাড়ে।
লেবু
লেবুতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি, যা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। সকালে হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খালি পেটে খান। চাইলে মধুও মেশাতে পারেন।
তুলসী
আয়ুর্বেদে তুলসীকে ফুসফুসের জন্য অমৃত বলা হয়। এতে থাকা ইউজেনল উপাদান সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করে এবং শ্বাসনালী পরিষ্কার রাখে। তুলসী পাতা চিবিয়ে খাওয়া যায়, কিংবা তুলসীর চা অথবা মধুর সঙ্গে তুলসীর রস মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
হলুদ
হলুদের কারকিউমিন উপাদান ফুসফুস পরিষ্কার রাখতে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ শরীর ডিটক্স করতে কার্যকর। রাতে দুধে হলুদ মিশিয়ে খান অথবা হালকা গরম পানিতে হলুদ ও লেবু মিশিয়ে ডিটক্স পানীয় তৈরি করুন।
রসুন
রসুনে থাকা অ্যালিসিন প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। এটি শ্লেষ্মা ভাঙে, ফুসফুস পরিষ্কার করে এবং ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১–২ কোয়া কাঁচা রসুন খান। মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলেও বাড়ে উপকারিতা।
দামী ওষুধ নয়, দৈনন্দিন কিছু সাধারণ খাবারই হতে পারে ফুসফুসের রক্ষাকবচ। তবে যেকোনও সমস্যায় দীর্ঘদিন ভুগলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মন্তব্য করুন: