প্রকাশিত:
১৫ জুন ২০২৫, ১৬:৫২
ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা প্রথমবারের মতো ইরানের সঙ্গে সমন্বয় করে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। হুতি বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি আজ রবিবার (১৫ জুন) জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় তারা ইসরায়েলের জাফা অঞ্চলে একটি সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, এই হামলাগুলো সফলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। এই হামলাগুলো ইরানের সঙ্গে যৌথ সমন্বয়ে পরিচালিত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হামলার পর বেশ কয়েকটি এলাকায় সাইরেন বাজানো হয়েছে, তবে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। এদিকে, ইরান ও ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি এলাকায় সাইরেন বাজানো হয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, এই হামলাগুলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে কয়েক বছরের জন্য পিছিয়ে দেবে এবং এর বিপরীতে আরো কঠোর প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি পশ্চিমা বিশ্বের উদাসীনতার সমালোচনা করেছেন এবং বলেছেন, ‘ইসরায়েলি হামলাগুলো পারমাণবিক আলোচনা ব্যাহত করছে।
’তিনি আরো বলেন, ‘তেহরান সংঘাত এড়াতে চায়, তবে যদি আরো আক্রমণ হয়, তাহলে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে সতর্ক করে দিয়েছেন যে, যদি মার্কিন স্বার্থে আঘাত করা হয়, তাহলে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
এই সংঘাতের ফলে গাজায় ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যা মানবিক সঙ্কটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেন ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা পুনরায় শুরুর আহ্বান জানিয়েছে, তবে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
এই হামলাগুলো মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে এবং একটি বৃহত্তর আঞ্চলিক যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করেছে।
সূত্র : রয়টার্স
মন্তব্য করুন: