প্রকাশিত:
১৭ জুন ২০২৫, ১৬:৩৮
অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে চাঁদপুরের ইলিশ বিক্রি হয় চড়া দামে। যে কারণে সাধারণ ক্রেতা ও স্থানীয়রা ইলিশের স্বাদগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হন। এমন পরিস্থিতিতে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে ‘জাতীয় মাছ ইলিশের মূল্য নির্ধারণ’-এর জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকালে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন স্বাক্ষরিত এসংক্রান্ত চিঠি গণমাধ্যমের হাতে আসে।
চিঠিতে জেলা প্রশাসক উল্লেখ করেন, প্রাচীনকাল থেকেই চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীর ইলিশ অত্যন্ত সুস্বাদু এবং মানের দিক থেকেও অতুলনীয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে বাংলাদেশের প্রথম জেলা ব্র্যান্ডিং হিসেবে চাঁদপুরকে ‘ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর’ হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার স্বীকৃতি দেয়। ইলিশের এ সুস্বাদুতার সুযোগ নিয়ে চাঁদপুর ও আশপাশের জেলার কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী বা আড়তদার নিজের ইচ্ছামতো দাম হাঁকাচ্ছেন, যা ক্রেতার নাগালের বাইরে। এমনকি চাঁদপুরের স্থায়ী বাসিন্দাদেরও অভিযোগ ইলিশের চড়া মূল্যের কারণে ইলিশ তাদের ক্রয়সীমার বাইরে চলে যাচ্ছে।
চিঠিতে তিনি আরো উল্লেখ করেন, যেহেতু ইলিশ চাঁদপুরসহ অন্যান্য জেলায়ও ধরা পড়ে, সেহেতু জেলা প্রশাসন, চাঁদপুর কর্তৃক ইলিশের মূল্য নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হলে এর ফলপ্রসূ প্রভাব পড়বে না। এখানে উল্লেখ্য, চাঁদপুরের পাশাপাশি বরিশাল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠিসহ আরো অনেক সাগরতীরবর্তী জেলায় ইলিশ ধরা পড়ে থাকে। নদী বা সাগরে ইলিশ উৎপাদনে জেলেদের কোনো উৎপাদন খরচ না থাকলেও ধৃত ইলিশের দাম অসাধু ব্যবসায়ী বা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। যেহেতু ইলিশ প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদন হয়, সেহেতু ইলিশ আহরণ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয়ের প্রতি লক্ষ রেখে ইলিশের মূল্য নির্ধারণ প্রয়োজন।
এমতাবস্থায়, জাতীয় মাছ ইলিশের মূল্য নির্ধারণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ করা হলো। চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, ‘অনেকেই দাবি করেন চাঁদপুর ও আশপাশের জেলার কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী বা আড়তদার নিজের ইচ্ছামতো দাম হাঁকাচ্ছেন, যা একেবারেই ক্রেতার নাগালের বাইরে। তাই ইলিশের মূল্য নির্ধারণ করা প্রয়োজন।’
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘চাঁদপুর ছাড়াও যেহেতু আরো কয়েকটি জেলা ইলিশের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই আমার এখানে দাম নির্ধারণ করলাম কিন্তু আরেক জেলায় দাম ঠিক হলো না—তখন তো আলটিমেটলি সেই দামে বেচাকেনা হবে না।
’তিনি আরো বলেন, ‘বিভিন্ন সময় বিষয়টি নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে। এবারই প্রথম অফিশিয়ালি মন্ত্রণালয়ে প্রপোজাল দিয়েছি। আশা করছি, তারা বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
মন্তব্য করুন: