বুধবার, ১৮ই জুন ২০২৫, ৪ঠা আষাঢ় ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • মেয়েকে ধর্ষণের মামলায় সৎ বাবার মৃত্যুদণ্ড
  • বিএনপি নেতাকর্মীদের যে পরামর্শ দিলেন সারজিস আলম
  • গুজরাটে মুষলধারে বৃষ্টিপাত, অন্তত ১৮ জনের প্রাণহানি
  • লিবিয়া উপকূলে জাহাজডুবি: অন্তত ৬০ জন শরণার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশী নিখোঁজ
  • হত্যা মামলায় সাবেক মেয়র আইভী ২ দিনের রিমান্ডে
  • নিখোঁজের ২০ ঘণ্টা পর পুকুরে মিলল ২ কন্যা শিশুর বিবস্ত্র লাশ
  • দীর্ঘ ২ বছর পরে কূটনৈতিক সমঝোতায় ভারত ও কানাডা
  • দেড় শ ছাড়ালেন মুশফিক, ফিফটির দেখা লিটনের
  • নারায়ণগঞ্জে হাকিম মার্কেটে আগুন
  • দেশব্যাপী নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করল এনসিপি

দীর্ঘ ২ বছর পরে কূটনৈতিক সমঝোতায় ভারত ও কানাডা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
১৮ জুন ২০২৫, ১৫:১৯

প্রায় দুই বছর ধরে চলা কূটনৈতিক টানাপোড়েনের পর ভারত ও কানাডা সম্পর্ক পুনর্গঠনের পথে অগ্রসর হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৭ জুন) কানাডার অ্যালবার্টায় জি-৭ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির বৈঠকের পর, দুই দেশ একে অপরের রাজধানীতে হাই কমিশনার পুনঃনিয়োগের বিষয়ে সম্মত হয়েছে।

কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উভয় দেশ নাগরিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাভাবিক কনস্যুলার সেবা পুনরায় চালু করার লক্ষ্যে হাই কমিশনার মনোনয়নে সম্মত হয়েছে। ২০২৩ সালে কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সারেতে খালিস্তানপন্থী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের পর শুরু হয় দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি।

কানাডা সরাসরি ভারতের বিরুদ্ধে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ তোলে, যা নয়াদিল্লি বরাবরই ‘অযৌক্তিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে প্রত্যাখ্যান করে এসেছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কূটনৈতিক বহিষ্কার, ভিসা স্থগিতসহ একাধিক উত্তপ্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ভারত অভিযোগ করে, কানাডা ভারতের ‘সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক’ এবং ‘ভারতবিরোধী কার্যকলাপকে’ প্রশ্রয় দিচ্ছে। কানাডা অবশ্য এসব দাবি অস্বীকার করেছে।

তবে এবার পরিস্থিতির মোড় ঘোরাতে শুরু করেছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। জি-৭ সম্মেলনে ভারত সদস্য না হলেও, কার্নি মোদীকে আমন্ত্রণ জানান। তিনি বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের নেতৃত্বকে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার টেবিলে রাখাটা খুবই যৌক্তিক।

বৈঠকে মোদী এবং কার্নি প্রযুক্তি, ডিজিটাল রূপান্তর, খাদ্য নিরাপত্তা ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ নিয়ে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন।

যদিও কোনও পক্ষই নিজ্জর হত্যা প্রসঙ্গে সরাসরি কিছু বলেননি। বৈঠকের পর মোদী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে চমৎকার সাক্ষাৎ হয়েছে। ভারত ও কানাডা গণতন্ত্র ও আইনের শাসনে বিশ্বাসী। দুই দেশের বন্ধুত্ব আরো এগিয়ে নিতে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’ কার্নিও মোদীকে জি-৭ সম্মেলনে আতিথেয়তা দেওয়াকে ‘মহান সম্মান’ বলে অভিহিত করেন।

এদিকে, জি-৭ সম্মেলনের সময়ে কানাডার ক্যালগারিতে খালিস্তানপন্থী শিখ বিক্ষোভকারীদের দেখা যায় নিজ্জরের হত্যার বিচার দাবি করতে। কিছু বিক্ষোভকারী মোদীর সফরের বিরোধিতা করেন। এই প্রসঙ্গে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে কার্নি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে একটি বিচারিক প্রক্রিয়া চলছে, তাই আমি এ বিষয়ে খুব বেশি মন্তব্য করতে পারব না।’ তবে তিনি আরও জানান, নিজ্জর প্রসঙ্গে মোদীর সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী উত্তেজনার অবসান ঘটাতে এই হাই কমিশনার পুনঃনিয়োগ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা ভবিষ্যতের সম্পর্ক উন্নয়নের ভিত্তি তৈরি করতে পারে।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর