বুধবার, ১৮ই জুন ২০২৫, ৪ঠা আষাঢ় ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল dailyvobnews@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • মেয়েকে ধর্ষণের মামলায় সৎ বাবার মৃত্যুদণ্ড
  • বিএনপি নেতাকর্মীদের যে পরামর্শ দিলেন সারজিস আলম
  • গুজরাটে মুষলধারে বৃষ্টিপাত, অন্তত ১৮ জনের প্রাণহানি
  • লিবিয়া উপকূলে জাহাজডুবি: অন্তত ৬০ জন শরণার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশী নিখোঁজ
  • হত্যা মামলায় সাবেক মেয়র আইভী ২ দিনের রিমান্ডে
  • নিখোঁজের ২০ ঘণ্টা পর পুকুরে মিলল ২ কন্যা শিশুর বিবস্ত্র লাশ
  • দীর্ঘ ২ বছর পরে কূটনৈতিক সমঝোতায় ভারত ও কানাডা
  • দেড় শ ছাড়ালেন মুশফিক, ফিফটির দেখা লিটনের
  • নারায়ণগঞ্জে হাকিম মার্কেটে আগুন
  • দেশব্যাপী নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করল এনসিপি

লিবিয়া উপকূলে জাহাজডুবি: অন্তত ৬০ জন শরণার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশী নিখোঁজ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
১৮ জুন ২০২৫, ১৫:৪৩

লিবিয়ার উপকূলে দুটি জাহাজডুবির ঘটনায় অন্তত ৬০ জন শরণার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশী নিখোঁজ এবং সমুদ্রে ডুবে মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) এ তথ্য জানিয়েছে। ইউরোপে পৌঁছানোর বিপজ্জনক অভিযানে নেমে এই দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।

আইওএম-এর মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার আঞ্চলিক পরিচালক ওথমান বেলবেইসি বলেন, “ডজনখানেক মানুষ নিখোঁজ এবং বহু পরিবার দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে আমরা আবারও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উদ্ধারে তৎপরতা বাড়ানোর এবং জীবিতদের জন্য নিরাপদ ও পূর্বানুমেয় অবতরণ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।”

আইওএম জানায়, প্রথম জাহাজডুবির ঘটনা ঘটে ১২ জুন, ত্রিপোলিটানিয়ার আলশাব বন্দরের কাছে। এতে মাত্র পাঁচজনকে জীবিত উদ্ধার করা যায়, এবং ২১ জন নিখোঁজ হন। নিহতদের মধ্যে ছয়জন ইরিত্রিয় নাগরিক (তিনজন নারী ও তিনজন শিশু), পাঁচজন পাকিস্তানি, চারজন মিশরীয় এবং দুইজন সুদানিজ পুরুষ রয়েছেন। আরও চারজনের পরিচয় জানা যায়নি।

দ্বিতীয় জাহাজডুবি ঘটে ১৩ জুন, লিবিয়ার তোবরুক শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার (২২ মাইল) পশ্চিমে। সেখানে একজন মাত্র জীবিত উদ্ধার হন, যিনি স্থানীয় মৎস্যজীবীদের দ্বারা উদ্ধার হন। তার ভাষ্য অনুযায়ী, জাহাজে থাকা আরও ৩৯ জন নিখোঁজ।

চলতি বছরে এখন পর্যন্ত অন্তত ৭৪৩ জন ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে ভূমধ্যসাগরে প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে শুধু মধ্য ভূমধ্যসাগর পথে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৩৮ জন, যা বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক অভিবাসন পথ হিসেবে পরিচিত।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর